জালিয়াতি করে ৭ লাখ টাকা উত্তোলনের ঘটনায় ব্যাংক ব্যবস্থাপক প্রত্যাহার

সোনালী ব্যাংকের কেন্দুয়া শাখার এক নারী গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে সাত লাখ টাকা উধাওয়ের ঘটনায় ব্যবস্থাপক আরিফ আহম্মদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পারভিন আক্তার নামের গ্রাহকের চেক জালিয়াতি করে টাকা তোলা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ব্যবস্থাপককে প্রত্যাহার করে সোনালী ব্যাংকের নেত্রকোনা আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শাহজালাল মিয়াকে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ঘটনা তদন্তে হওয়া কমিটির প্রধান করা হয়েছে সোনালী ব্যাংকের নেত্রকোনা অঞ্চলের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রাসমোহন সাহাকে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মিনহাজুল আলম ও প্রিন্সিপাল অফিসার আবু সিদ্দিক খান।

ব্যবস্থাপক আরিফ আহাম্মদকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকটির ময়মনসিংহ অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল মজিদ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, চেক জালিয়াতি করে সাত লাখ টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

তিনি আরও জানান, তদন্তে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানান তিনি।

স্থানীয়রা জানান, কেন্দুয়া পৌর এলাকার বাদে আঠারোবাড়ি মহল্লার পূর্ণতা নামে এক নারী গত ৬ মাস ধরে ব্যাংকে এসে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পেনশন ভোগীসহ অন্যান্য সহজ সরল গ্রাহকদের সঙ্গে মিশে তাদের হিসাব থেকে চেক লিখে দিয়ে টাকা তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করে আসছেন। গত রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পূর্ণতা আক্তার (২৫) উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামের পারভিন আক্তারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে কৌশলে চেকের একটি পাতা ছিঁড়ে রেখে দেন। পরে পারভিনের স্বাক্ষর জাল করে ওই দিন দুপুরে ৭ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেন। তার মোবাইলে ৭ লাখ টাকা উত্তোলনের মেসেজ যাওয়ার পর বিষয়টি টের পেয়ে পারভিন আক্তার ওই ব্যাংকের কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হন। পরে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর)  স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যস্থতায় ওই টাকা উদ্ধার করা হয়। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, এই জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকের লোকজনও জড়িত আছে। অভিযুক্ত পূর্ণতা আক্তারের বাড়ি কেন্দুয়া পৌর এলাকার বাদে আঠারবাড়ি মহল্লায়। তিনি ওই এলাকার মামুন মিয়ার স্ত্রী।

এ বিষয়ে প্রত্যাহার হওয়া শাখা ব্যবস্থাপক আরিফ আহম্মদের মোবাইলফোনে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।