সেতুতে গর্ত, ঝুঁকি নিয়ে পারাপার  

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের বড়বিলা বিলের পাশে খালের ওপর সেতুটি ভেঙে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সেতু দিয়ে দুই পারের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। 

কাঁচা হলুদ আর লাল চিনির জন্য বিখ্যাত ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলা। এ উপজেলার বানার নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী উপজাতী অধ্যুষিত রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়ন। ১১ দশমিক ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার ইউনিয়নটিতে এক লাখ ৮৮ হাজার ১৫ জন মানুষের বসবাস।  

স্থানীয়রা জানান, জেলা শহরের কাছাকাছি উপজেলা হলেও যোগাযোগের ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে ইউনিয়নটি। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সেখানকার সেতুটি এখন এলাকাবাসীর জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তবুও জীবনের তাগিদে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ও স্কুল-কলেজের শত শত শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু দিয়ে চলাচল করছে। 

সেতুটি দিয়ে মোটরসাইকেল, রিকশা ও ভ্যান চলাচল করলেও সম্প্রতি সেতুটির মাঝের অংশ ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অটোরিকশাসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। 

ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম জানান, রাঙ্গামাটিয়া-কেশরগঞ্জ হয়ে গারো বাজারের যাতায়াতের একমাত্র সড়কপথ এটি। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ সড়কে চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে ও ধসে পড়া সেতুটির সংস্কারে নজর নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এতে এলাকাবাসীর চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যেকোনও ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

স্থানীয় সজল মিয়া বলেন, সেতুটি ভেঙে পড়ার কারণে এলাকার খেটে খাওয়া কৃষক-শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে। কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য, ফলমূল, শাক-সবজি ও অন্যান্য ফসল বাজারে আনা-নেওয়া করতে পারছেন না তারা। ফলে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাহাবুব মুর্শেদ বলেন, ১৯৮৭ সালে ৯ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মিত হয়। তবে বর্তমানে এ সেতুটি চলাচালের অনুপযোগী। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই সেতুটি পরিদর্শন করে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।      
 
ফুলবাড়িয়া উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা আশরাফুল সিদ্দিক বলেন, সড়কটি স্থানীয় সরকার অধিদফতরের আওতাধীন। দ্রুত ওই সড়কে নতুন করে সেতু নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।