ছাত্রলীগের ২ পক্ষের উত্তেজনায় আনন্দ মোহন কলেজের হল বন্ধ

ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগ ইউনিটকে জেলার অধীনে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ নিয়ে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমান উল্লাহ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আবাসিক হল বন্ধের ঘোষণা দেন।

ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে ছেলেদের এবং রবিবার সকাল ৮টার মধ্যে মেয়েদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগ ইউনিটকে জেলার অধীনস্ত ঘোষণা করে। এরপর শনিবার সকাল থেকেই ছাত্রলীগের কিছু কর্মী আনন্দ মোহন কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন এবং কলেজ শাখা মহানগর শাখায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এ নিয়ে দুপুরের দিকে ছাত্রলীগের অন্য একটি অংশ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নওশেল আহমেদ অনি বলেন, ‘মহানগরের কোনও ছাত্রলীগ নেতা বা কর্মী আনন্দ মোহন কলেজে যাননি। শুনেছি, সেখানে জেলা ছাত্রলীগ ককটেল ফাটিয়েছে।’

এদিকে, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন বলেন, ‘মহানগর ছাত্রলীগ আনন্দ মোহন কলেজে হাতাহাতি করেছে ও ককটেল ফাটিয়েছে শুনেছি। জেলা ছাত্রলীগের কোনও নেতা বা কর্মী আনন্দ মোহন কলেজে যায়নি। কেউ যদি জেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ককটেল ফাটানোর অভিযোগ করে থাকে সেটা ঠিক না।’

এদিকে, এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম তার স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন সিদ্ধান্তের ফলে ময়মনসিংহ মহানগরে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার সম্পূর্ণ দায় তাদেরই নিতে হবে।’

এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরা অনেকটা বাধ্য হয়েই হল ত্যাগ করেছেন।