পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে আ.লীগ কর্মীদের হামলার অভিযোগ

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। 

আটককৃতরা হলো- উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের মো. আব্দুল মজিদের ছেলে মো. বিদ্যুৎ হোসেন (২০) ও একই ইউনিয়নের কান্দারপাড়া গ্রামের দানেশ মণ্ডলের ছেলে মোর্শেদ (৪০)।

পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলায় ছয় জন আহত

স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের লোকজন বৃহস্পতিবার রাতে তারাকান্দি এলাকায় আতশবাজি উৎসব করে। শুক্রবার সকালে যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়। পুলিশ এতে বাধা দিলে তারা সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় মোর্শেদকে আটক করে পুলিশ। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা চালায়। 

তদন্ত কেন্দ্রের প্রধান ফটক বন্ধ করে দিলে ওপর দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। এতে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফসহ অন্তত ছয় পুলিশ আহত হন। আহত অন্যরা হলেন-এসআই শফিউল আলম সোহাগ, এসআই সুলতান মাহমুদ, এএসআই মেহেদী হাসান, কনস্টেবল খোকনুজ্জামান ও সোলায়মান। 

সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, এ ঘটনার সঙ্গে তার কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। তাকে জড়িয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

জামালপুর পুলিশ সুপার নাছির উদ্দীন আহমেদ জানান, সার কারখানায় আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।