দেড় মাস পর প্রকাশ্যে ডা. মুরাদ, পড়লেন চাচার জানাজা

চাচার জানাজায় অংশ নিতে প্রায় দেড় মাস পর প্রকাশ্যে এসেছেন নানা বিতর্কে পদ হারানো সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান তালুকদারের জানাজায় অংশ নিতে তিনি জামালপুরের সরিষাবাড়ীর দৌলতপুরে যান।

দুপুর দেড়টার দিকে বড় ভাই ও হাইকোর্টের বিচারপতি মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে সরিষাবাড়ী পৌঁছান ডা. মুরাদ হাসান। বেলা ১২টায় সরিষাবাড়ী কলেজ মাঠে প্রথম জানাজা হয়। এরপর দুপুর ২টায় দৌলতপুরে অ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদার কলেজ মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অফ অনার শেষে দ্বিতীয় জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তার আমিনুর রহমানকে। গার্ড অফ অনার শেষে মরহুমের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ডা. মুরাদ হাসান, তার বড় ভাই বিচারপতি মাহমুদুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

জানাজার পূর্বে ডা. মুরাদ হাসান তার মরহুম চাচার আত্মার মাগফেরাত কামনা ও স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তার কর্মী-সমর্থকরা স্লোগান ও হাততালি দিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন। মুরাদ হাসান হাত নেড়ে তাদের উল্লাসের জবাব দেন।

murad-hasan2

বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান তালুকদার ১৯৭১ সালে ১১ নম্বর সেক্টরে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি জামালপুর জেলা ও সরিষাবাড়ী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। আমিনুর রহমান তালুকদার শুক্রবার রাত ১০টা ২০ মিনিটের দিকে পৌরসভার বীর ধানাটা এলাকায় নিজ বাসায় বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

উল্লেখ্য, চলচ্চিত্রের এক নায়িকার সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস ও নানা বিতর্কের মুখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গত ৭ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ হাসান। ৯ ডিসেম্বর রাতে তিনি কানাডার উদ্দেশে রওনা দেন। তবে সে দেশে ঢুকতে না পেরে ১১ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফেরেন। এরপর থেকেই তেমন একটা প্রকাশ্যে আসেননি জামালপুর-৪ আসনের এ এমপি। 

এদিকে, গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’ এ ফোন করে ডা. জাহানারা এহসান তার স্বামী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন। পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশ সেখানে যাওয়ার আগেই বাসা থেকে বেরিয়ে যান মুরাদ হাসান। ঘটনাস্থলে গিয়ে ডা. মুরাদকে পায়নি পুলিশ।