বরাবরের মতো এবারও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঈদের আগে ও পরে যানজটের আশঙ্কা করছেন চালক ও যাত্রীরা। মহাসড়কের ময়মনসিংহ মহানগরীর শিকারিকান্দা বাইপাস মোড়, চুরখাই চার রাস্তার মোড়, ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড, ভরাডোবা, ভালুকা বাসস্ট্যান্ড, সিডস্টোর, মাস্টার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে গত ঈদে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। এবারও এসব পয়েন্টে যানজটের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, যানজটের মূল কারণের মধ্যে রয়েছে মহাসড়কে যত্রতত্র বাস-ট্রাক পার্কিং, গাড়ি মেরামতের গ্যারেজ, থ্রি হুইলার, পিকআপ ও বাসস্ট্যান্ড গড়ে ওঠা এবং সড়কের বেশকিছু পয়েন্টে ভাঙাচোরা খানাখন্দ। এসব কারণে মহাসড়কে যানজটে ভুগতে হবে সাধারণ যাত্রীদের।
সরেজমিনে ময়মনসিংহ মহানগরীর শিকারিকান্দা বাইপাস মোড়ের চারদিকে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং এবং থ্রি হুইলার স্ট্যান্ড গড়ে ওঠার দৃশ্য দেখা গেছে। চুরখাই চৌরাস্তা মোড়ে মাহিন্দ্র স্ট্যান্ড এবং গাড়ি পার্কিং দেখা গেছে। ভরাডোবা, ভালুকা বাসস্ট্যান্ডেরও একই অবস্থা। এছাড়া ভালুকার পর থেকে সিডস্টোর, জয়নাবাজার হয়ে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে শিল্প কারখানার স্টাফদের বাস এবং মালবাহী লরি পার্কিং করে সড়কের চার লেনের দুই লেন দখল করে রাখা হয়। এছাড়া ময়মনসিংহ মহানগরীর শিকারিকান্দা বাইপাস মোড়, ভালুকা বাসস্ট্যান্ডসহ বেশ কিছু পয়েন্টে ভাঙাচোরা এবং খানাখন্দের কারণে সারা বছর জুড়ে পরিবহনের ধীরগতি ও যানজট থাকে।
ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী এনা পরিবহনের চালক উবায়দুল হক বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চার লেনের দুই লেন গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে দখলে থাকায় সারা বছরই যানজট তৈরি হয়। তবে ঈদে যানজট চরম আকার ধারণ করে। তিনি আরও জানান, মহাসড়কে বাস, সিএনজি অটোরিকশা এবং মাহিন্দ্র পিকআপের স্ট্যান্ড গড়ে ওঠায় আসন্ন ঈদে ভয়ঙ্কর যানজট হতে পারে।
যাত্রী নাজমুস সাকিব বলেন, প্রতিবছর ঈদের আগে ও পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজটের কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে। যানজটের কারণে গাড়ির গতি একেবারে কমে যাওয়ায় তিন ঘণ্টার রাস্তা পার হতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লাগে। আগে থেকেই মহাসড়ক থেকে পার্কিং করা যানবাহন উচ্ছেদ করা গেলে এই যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলে জানান তিনি।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ জামান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আসন্ন ঈদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানজট নিরসনে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক হবে। সবার সহযোগিতা নিয়ে মহাসড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙাচোরা এবং খানাখন্দ মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভালুকা ব্রিজ এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ চলমান আছে বলে জানান তিনি।