বন্ধ করে দেওয়া অবৈধ ক্লিনিকগুলো কি আবার চালু হবে?

রাজনৈতিক এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের চাপের কারণে সারা বছর অনিবন্ধিত এবং অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা যায় না। অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতর নির্দেশনা দেওয়ার ফলে রাজনৈতিক এবং বিভিন্ন মহলের এখন চাপ নেই। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে বছরজুড়ে কেন অভিযান চালানো হয় না এমন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. মো. নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আমরা রুটিনমাফিক স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ ক্লিনিক সেন্টারের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় অভিযান চালানোর চেষ্টা করি। তবে রাজনৈতিক এবং বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের চাপ কিংবা বাধার কারণে শতভাগ কাজ করতে পারি না। এখন চাপমুক্ত হয়ে ব্যবস্থা নিতে পারছি। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা পেয়ে বিভাগের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসেছেন। এখন পর্যন্ত বিভাগের চার জেলায় ১১৯টি অনিবন্ধিত এবং অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জরিমানা করা হয়েছে লক্ষাধিক টাকা। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ৪০টি অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. শাহ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জেলার আনাচে কানাচে যে যার মতো অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে তুলেছেন। নিবন্ধনের জন্য অনেকেই স্বাস্থ্য অধিদফতরে আবেদনও করেছেন। কিন্তু কোনও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে আবেদন করেই বছরের পর বছর অবৈধভাবে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করে আসছিলেন। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা নানা কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে ওসব অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ পাননি।’

বন্ধ করে দেওয়া অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো কি আবার চালু হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, ‘আগে থেকেই অনাপত্তি সনদ (এনওসি) নিয়ে সব শর্ত মেনে আবেদনের মাধ্যমে নিবন্ধন করলে এসব ক্লিনিক বন্ধ হতো না। এনওসি নিয়ে কার্যক্রম চালালে এমন সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। অভিযান চালিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তারা যদি সব শর্ত মেনে আবারও চালু করতে চান তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বিক সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে চালু করার অনুমতি দেবে স্বাস্থ্য বিভাগ। নিয়মনীতি মেনে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করলে আমরা বন্ধ করবো না।’