শিশুটি ভালো আছে

ময়মনসিংহের ত্রিশালের সড়কে দুর্ঘটনায় মায়ের প্রাণ যাওয়ার আগ মুহূর্তে জন্ম নেওয়া নবজাতক সুস্থ আছে। প্রসবের সময় ডান হাতে ব্যথা পাওয়ায় ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া এলাকার লাবিব প্রাইভেট হাসপাতালে প্লাস্টার করে তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর আগে দুর্ঘটনার পরপরই প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর নবজাতক শিশুটিকে নিজের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে মোহাম্মদ শাহজাহানের মালিকানাধীন লাবিব প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

লাবিব হাসপাতালের পরিচালক মো. শাহজাহান জানান, নবজাতক শিশুটি আত্মীয় হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে লাবিব প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে আনার পর তার ডান হাতে ব্যথা পাওয়ার কারণে প্লাস্টার করা হয়েছে এবং শিশুটিকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। সে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।

এদিকে, নবজাতকের মামি রোজিনা আক্তার জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগম ও শিশু কন্যা জান্নাত আরাকে নিয়ে ত্রিশালের প্রাইভেট ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করানোর জন্য যান। বাড়ি ফেরার পথে শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে ত্রিশাল সদরের দরিরামপুর এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পারাপারের সময় ট্রাকচাপায় ঘটনাস্থলে তিন জন মারা যায়। ট্রাকের চাপায় মায়ের মৃত্যুর আগে দুর্ঘটনাস্থলে রত্নার গর্ভ থেকে শিশুটি জন্ম নেয়। নবজাতকটিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে রোগীর ভিড় বেশি দেখে তাকে সিবিএমসিবি হাসপাতালে চিকিৎসার পর সন্ধ্যার দিকে লাবিব হাসপাতালে পরিচালক আত্মীয় পরিচয় দিয়ে নিজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

এখন শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে ওই হাসপাতালের পরিচালক মো. শাহজাহান।

স্থানীয়রা জানান, রত্না আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। আল্ট্রাসনোগ্রাম করে ফেরার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সময় ট্রাকের চাপায় রত্নার গর্ভে থাকা সন্তান বের হয়ে আসে। নবজাতকটি কন্যাশিশু।

এই দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন— ত্রিশাল উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের রায়মনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), তার স্ত্রী রত্না বেগম (২৬) ও আড়াই বছর বয়সী মেয়ে জান্নাত আরা। তারা এই নবজাতকের মা, বাবা ও বোন।