পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ: ৯ পুলিশসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা 

খালিয়াজুরী উপজেলার বল্লী গ্রামের সজিবুল তালুকদারকে (৪৪) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে খালিয়াজুরী থানার তিন এসআই, এক এএসআই, পাঁচ কনস্টেবলসহ ১৬ জনকে আসামি করে খালিয়াজুরীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে (৩) মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৯ জুলাই বল্লী গ্রামের মৃত খোরশেদ তালুকদারের ছেলে নিহত সজিবের ছোটভাই সাজিবুল তালুকদার (৪১) বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। 

আদালতের বিচারক তনিমা রহমান অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে আগামী ২১ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বল্লী গ্রামের মৃত খোরশেদ তালুকদারের ছেলে সজিবুল তালুকদার তার কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে ২৩ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে মালেক জিরাতির বসতবাড়ির পেছনে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় ফতুয়া গ্রামের মৃত ধুধু মিয়ার ছেলে আব্দুল কদ্দুছের (৪৭) প্ররোচণায় খালিয়াজুরী থানার এসআই (নিঃ) মো. আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সজিবুল তালুকদারসহ তার সাত সঙ্গীকে আটক করে। পরে আটকদের বিরুদ্ধে জুয়া খেলার অভিযোগ তোলেন পুলিশ সদস্যরা। পরে থানায় নেওয়ার সময় এসআই আব্দুল জলিল আটক সজিবুল তালুকদারের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। সজিবুল টাকা দিতে অস্বীকার করায় লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক  পেটানো হয়। এতে তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে পুলিশ লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মৃত সজিবুলকে বন্যার পানিতে ফেলে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা অনেক খোঁজ করার পর সজিবুলের লাশ নতুন পাড়া মসজিদের দক্ষিণে উজারী বনের পানি থেকে উদ্ধার করে। রাতে পুলিশ বাদীর বাড়িতে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। তবে এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আদালতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, মামলার বিষয়টি শুনেছি। তবে কোনও কাগজ হাতে আসেনি। প্রাথমিকভাবে হয়তো পিবিআইকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনার কাগজ হাতে পেলে বিস্তারিত জানানো যাবে। তবে তদন্তে দোষী হলে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।