ধর্ষণ শেষে হত্যার পর বস্তাবন্দি লাশ ফেলা হয় পুকুরে

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পুকুর থেকে কিশোরীর (১৩) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মো. আল আমিন (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ধর্ষণ শেষে হত্যার পর ওই কিশোরীর লাশ বস্তাবন্দি করে পুকুরে ফেলা হয়েছিল। 

বুধবার (২৭ জুলাই) সকালে শেরপুর প্রেস ক্লাবে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জামালপুর র‍্যাব-১৪-এর কোম্পানি কমান্ডার আশিক উজ্জামান। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের ঘাগড়া কামারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আল আমিন ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে।

এর আগে রবিবার (২৪ জুলাই) বিকালে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া গ্রামের পুকুর থেকে পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এরপর ঘটনার ছায়াতদন্ত শুরু করে র‌্যাব-১৪।

র‍্যাব-১৪ কোম্পানি কমান্ডার আশিক উজ্জামান বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে মাদকসেবী আল আমিন ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে বাকাকুড়া এলাকার কালঘোষা নদীর তীরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ছাত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর লাশ বস্তাবন্দি করে প্রতিবেশী সাঈদ মিয়াকে ফাঁসাতে তার পুকুরে ফেলে দেয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আল আমিনকে দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা ও লাশ বস্তাবন্দি করে পুকুরে ফেলার কথা স্বীকার করেছে আল আমিন। বুধবার দুপুরে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়। এরপর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-১৪ সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানাসহ র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।