ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দোকান ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগ 

নেত্রকোনা সদর উপজেলার ১১ নম্বর কে-গাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে দোকান ভাঙচুর ও ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার নেত্রকোনা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাদী এ কে এম শহীদুল ইসলাম খানের বাবা ১৯৬৬ সাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ২৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এই জমি তাদের ভোগদখলে আছে। বাবার মৃত্যুর পর উত্তারিধকার সূত্রে ওই জায়গায় ঘর নির্মাণ করেন শহীদুল। আরএস ও এসএ খতিয়ান মোতাবেক স্বত্ত্ব দখলীয় থাকা জমির ২৮ শতাংশ হতে দুই শতাংশ জায়গা ভূলবসত ১৯৮২ সালের রেকর্ডে ইউনিয়ন পরিষদের নামে ওঠে পড়ে। এই বিষয়টা তিনিসহ তার ভাইদের জানা ছিল না। গত জুনের প্রথম সপ্তাহের দিকে লোকজন নিয়ে দুই শতাংশ জায়গা দখল নিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে ব্যর্থ হন চেয়ারম্যান। দুই শতাংশ ভূমি নিয়ে সিআর মোকাদ্দমা নম্বর ৩১৫/২২ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

আরও জানা গেছে, কোনও প্রকার নোটিশ বা অবগত না করেই চেয়ারম্যান ও তার লোকজন শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ভেকু দিয়ে দোকান ও বসতঘর ভেঙে দিয়েছেন। এতে তাদের ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে আমার ভাবির বিধবা ভাতার কার্ড বাতিল করে দিয়েছেন।’

বিনা নোটিশে কারও স্থাপনা ভাঙা যায় কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমি নোটিশ দিয়েছি, আমার নিজস্ব দায়িত্ব নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের জায়গায় স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি।’

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, ঘটনার খবর শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। যদি কারও জায়গা ও ঘরবাড়ি অবৈধভাবে ভাঙা হয়, তাহলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

নেত্রকোনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’