নিজ উদ্যোগে মুক্তির বোনকে চাকরি দিয়েছি: ডিসি

নেত্রকোনার বারহাট্টায় প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ডের শিকার মুক্তি রানী বর্মণের বড় বোনকে নিজ কার্যালয়ে চাকরি দিয়েছেন প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে নিহতের বোন নিপা বর্মণ ও মা-বাবাকে ডেকে প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত শাখায় অস্থায়ী ভিত্তিতে আউট সোর্সিংয়ে চাকরি দেন।

অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, পরিবারটির প্রতি আমার নজর থাকবে সবসময়। ব্যক্তিগতভাবে খুবই মর্মাহত, যে চলে গেছে থাকে তো আর ফেরানো যাবে না। তবে যারা আছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টায় নিজ উদ্যোগে চাকরি দিয়েছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মামুন খন্দকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি অনিমেষ সোম, বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

মঙ্গলবার (২ মে) নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামে স্কুল থেকে ফেরার পথে প্রকাশ্যে মুক্তি রানী বর্মণকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিন মুক্তির সহপাঠীরা জানায়, দুপুর ২টার দিকে সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল মুক্তি। পথিমধ্যে কাউছার এসে দা দিয়ে কোপাতে শুরু করে। এ সময় সহপাঠীরা ভয়ে চিৎকার শুরু করে। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে আহত অবস্থায় মুক্তিকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে নেত্রকোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিকালে সেখানে মৃত্যু হয়।

এদিকে, আসামিকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। সেদিন আসামির পক্ষে কোনও আইনজীবী জামিন আবেদন করেননি।