‘ইচ্ছে করলে সব শিক্ষার্থীকে প্রণোদনার আওতায় আনতে পারি’

সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা ইচ্ছে করলে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীকে এমন আর্থিক প্রণোদনার আওতায় আনতে পারি, এমন সামর্থ্য সরকারের আছে। কিন্তু এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে লেখাপড়া নিয়ে প্রতিযোগিতা কমে যাবে। সরকারি প্রণোদনা পেতে হলে শিক্ষার্থীদের অবশ্যই পরিশ্রম করে ভালো ফল অর্জন করতে হবে। যারা ভালো ফল অর্জনের প্রতিযোগিতায় টিকবে শুধু তারাই সরকারি এমন প্রণোদনার আওতায় আসবে, এই বিষয়টি তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে। ফলে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় অধিক মনোযোগী হবে এবং ফলাফল অর্জন প্রতিযোগিতার মাঠে লড়তে শিখবে।’

শনিবার (২৪ জুন) সকালে শেরপুরের নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের বারমাইশা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই ইউনিয়নের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এবতেদায়ি মাদ্রাসার তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের মাঝে আর্থিক প্রণোদনা (ঈদ উপহার) বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।

সংসদ উপনেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর পরিশ্রম দেশের মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে। তার একনিষ্ঠ পরিশ্রম, মেধা-মননে দেশ পরিচালনার জন্যই আমরা আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখেছি। পরিশ্রম ছাড়া কোনও জাতি উন্নতি করতে পারে না, পারবেও না। তাই কোনও জাতি উন্নতি করতে চাইলে, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাইলে, সে জাতিকে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’

এ সময় নকলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া উম্মুল বানিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, সহ-সভাপতি বাবু ইন্দ্রজিৎ কুমার ধর সুভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিহাবুল আরিফ, নকলা থানার ওসি মোহাম্মদ রিয়াদ মাহমুদসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।