ময়মনসিংহের ফুলপুরে কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে ধরে পিটিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ছাত্রদল ও যুবদল নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে একজনকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ মে) রাত ১০টার দিকে ফুলপুর পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে।
এতে নেতৃত্ব দেন ময়মনসিংহ জেলা (উত্তর) ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এ কে এম আরিফুল হক আরিফ, ফুলপুর পৌর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক শিকদার, ফুলপুর বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিরা ও যুবদল নেতা মাইনুদ্দিনসহ আরও কয়েকজন।
আটকরা নেতারা হলেন- ফুলপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেবাশীষ তালুকদার শুভ ও একই উপজেলার রূপসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফুলপুর পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ওমর ফারুক সরকার জানান, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা দেবাশীষ তালুকদার শুভ ও আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল ইসলাম ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ক্যাডার রাজনীতি করতেন। এরা অনেককে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। ফুলপুর-তারাকান্দা থেকে রাতের ভোটে নির্বাচিত সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের অনুসারী তারা। জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে দমন করতে আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে এরাও অস্ত্র নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেছে। এরা ভেবেছিল, আজীবন রামরাজত্ব কায়েম করবে। রাতে ছাত্রদল ও যুবদল নেতাসহ সাধারণ জনতা তাদের আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
ফুলপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কার সিদ্দিক জানান, ছাত্র-জনতা ওই দুজনকে মারধর করেছে। এতে বিএনপি কিংবা অঙ্গসহযোগী সংগঠনের কোনও নেতাকর্মী ছিল কিনা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাদি বলেন, ‘ওই দুজনকে আটক করে মারধর শেষে থানায় নিয়ে আসা হয়। আজিজুল ইসলামকে বেশি মারধর করা হয়েছে। তাই পুলিশের মাধ্যমে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।’
তিনি আরও জানান, আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি মারামারির মামলা রয়েছে। এই মামলায় বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন। তার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেতা দেবাশীষ তালুকদার শুভকে যেকোনও একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।