রাবি শিক্ষক তানভীরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ





রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর আহমদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অধ্যাপক তানভীর আহমদ একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আকতার জাহান জলির সাবেক স্বামী।
ওই ছাত্রী জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন তানভীর আহমদ। এরপর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে দিনের পর দিন তাকে হুমকি দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষক তানভীর আহমদ বলেন, ‘প্রশাসনকে যদি অভিযোগ দিয়ে থাকে ভিসি স্যার আমাকে শোকজ করবে। আমি তখন তার জবাব দেবো।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেন, ‘এ অভিযোগগুলো তদন্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ অভিযোগ কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবন থেকে নিজ কক্ষের দরজা ভেঙে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জলি আকতার জাহানের (৪৫) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শিক্ষক জলি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা জানান। পরদিন তার ছোট ভাই মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
পরে শিক্ষক জলির আত্মহত্যার ঘটনায় বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসে তার সাবেক স্বামী তানভীর আহমদের বিরুদ্ধে। এছাড়া ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিভাগের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে তানভীর আহমদের বিরুদ্ধে। বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পৃথকভাবের তার বিরুদ্ধে লিখিতও অভিযোগও দেন বিভাগের সভাপতির কাছে। তানভীর আহমদের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে তাকে বিভাগের কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর তাকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়। এরপর পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে অনিয়মের অভিযোগে গত ১ অক্টোবর পরীক্ষা কার্যক্রমে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন শিক্ষক তানভীর।
এদিকে গত ৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ অভিযোগ কমিটিকে শিক্ষক আকতার জাহানের আত্মহত্যার ঘটনায় অধ্যাপক তানভীর আহমদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
/এআর/