‘এখন এক্স তো তখন ওয়াই মারা যাবে’

রাবিতে মানববন্ধন‘এ হত্যাগুলো একটা সিস্টেমের মতো। এখন ‘এক্স’ তো তখন ‘ওয়াই’ মারা যাবে। তাই আমাদের সিস্টেমটা নিয়ে ভাবতে হবে। বাংলাদেশ কি এ পথেই চলবে যেভাবে বহুকাল ধরে চলে আসছে? নাকি আমরা একটু ভাবতে শিখবো, কাঠামোগত সংস্কার আমাদের জন্য প্রয়োজন কিনা? বিশ্ববিদ্যালয়, রাষ্ট্র সবাইকেই ভাবতে হবে, ক্যাম্পাস-রাষ্ট্র পরিচালনা পদ্ধতিতে মৌলিক কোনও সংস্কারের প্রয়োজন আছে কিনা।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপুর হত্যা সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন এসব কথা বলেন। রবিবার বেলা সাড়ে ১০টায় বিভাগের সামনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা পরিবারের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে নবাব আব্দুল লতিফ ও মতিহার হল ব্যানার নিয়ে যোগ দেয়।

সেলিম রেজা নিউটন আরও বলেন, ‘একের পর এক হত্যাকাণ্ড চলছে। যা আমাদের কারও জন্য ভালো নয়। ক্যাম্পাসগুলো প্রায় ক্যান্টনমেন্টের মতো করে পরিচালিত হয়। ক্যাম্পাসের ভেতরে পুলিশের অনেক ফাঁড়ি আছে। পুলিশ প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আছে। কিন্তু সেখানে একটা মানুষকে খুন করে ফেলা হলো, আমরা যেন কেউ কিচ্ছু জানবো না, সব দায়িত্ব তখন আজগুবি, গায়েবি ব্যবস্থার ওপরে গিয়ে পড়বে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

মানববন্ধনে বিভাগের সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে আজ রবিবার কোনও রকম কোনও অগ্রগতি দেখতে পাইনি। একটু আগে প্রফেসর রেজাউল করিম হত্যার ছয় মাস পূর্তিতে বিচার দাবিতে র‌্যালি দেখলাম। প্রত্যেকটা মৃত্যুতে একটা করে র‌্যালি-মানববন্ধন, পরবর্তীতে আবার সবারই নিজ নিজ কর্ম-ব্যস্ততা।’

প্রদীপ কুমার পাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি জানি না বাংলাদেশের পুলিশ কি এতই অযোগ্য যারা এত বড় বড় জঙ্গি ধরে ফেলছে, তারা এই নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে, যেখানে হলে দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা পুলিশ থাকে, তার মধ্য থেকে একজন শিক্ষার্থীকে কীভাবে হলের ড্রেনের মধ্যে পড়ে থাকতে হলো তা জানে না। এরপরেও তিন দিনে আমরা কোনও রকম অগ্রগতি দেখতে পারছি না।’রাবিতে শোকর‌্যালি

পরে তিনি সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দেন। তিনি বলেন, ‘আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যদি দৃশ্যমান কোনও অগ্রগতি দেখতে না পাই পরবর্তীতে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’

বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন নবাব আব্দুল লতিফ হলের প্রাধ্যক্ষ বিপুল কুমার বিশ্বাস ও বিভাগের মাস্টার্সের শামীম।

এর আগে বিভাগের সামনে থেকে একটি শোক র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে আবার সেখানে আসে। পরে সেখানে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২০ অক্টোবর নবাব আব্দুল লতিফ হলের ডাইনিং-এর ড্রেন থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন লিপুর চাচা মো. বশীর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন- 

নতুন কমিটিতে মীরজাফরদের চান না কাউন্সিলররা



/এফএস/