‘গাড়ি ব্রেক কষলে আসামি লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়’

আসামি পলাতকনাটোর থেকে ডান্ডাবেড়ি পড়িয়ে হত্যা মামলার আসামিকে নেওয়া হচ্ছিলো নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। সঙ্গে চারজন পুলিশ ছিলেন পাহারায়। তবে পথে ঢাকার কাছে ‘ডান্ডাবেরি খুলে বাস থেকে লাফিয়ে আসামি পালিয়ে যায়’ বলে জানিয়েছে পুলিশ। আসামিকে নাটোর থেকে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে থাকা এসআই এহসান জানান, ‘গাড়িটি একটু ব্রেক কষলে আসামি গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়।’

এদিকে বুধবার  সকালে আসামি পালানোর এই ঘটনায় সন্ধ্যায় নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পলাতক আসামি শামিম হোসেন (২৩) নাটোর সদর উপজেলার পশ্চিম হাঘুরিয়া এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে।

নাটোর জেলা কারাগারের জেল সুপার ফারুক হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার পাঠানো তথ্যমতে ওই থানার এক হত্যা মামলার আসামি শামিমকে গ্রেফতার করে সদর থানা পুলিশ। এরপর গত ২৭ নভেম্বর তাকে জেলে পাঠানো হয়। মামলা সংক্রান্ত কাজে শামিমকে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ফতুল্লায় পাঠানোর উদ্দেশে ডান্ডাবেড়ি পড়া অবস্থায় নাটোর পুলিশ লাইনের উপ-পরিদর্শক (এসআই) এহসানের নেতৃত্বে চার পুলিশ সদস্যের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু পথে সালেপুর এলাকায় পুলিশ হেফাজত থেকে আসামি পালিয়ে যায়।

এদিকে আসামি নিয়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে থাকা পুলিশের এসআই এহসান জানান, ‘বুধবার নাটোর থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে আমরা আসামিকে নিয়ে ফতুল্লায় যাচ্ছিলাম। কিন্তু সিটে বসে থাকা অবস্থায় আসামি কেমন করে যেন ডান্ডাবেড়ি খুলে ফেলে। ভোরের দিকে ঢাকার সাভারের আমিনবাজার এলাকায়  সালেপুর ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে গাড়িটি একটু ব্রেক কষলে, আসামি গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়।’

নাটোরের পুলিশ সুপার বিল্পব বিজয় তালুকদার জানান, ‘ঘটনাটি তদন্ত করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ ক ম আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আরও পড়ুন- 


শিশুর শরীরের ১০ শতাংশের বেশি ওজনের স্কুলব্যাগ বহনে নিষেধাজ্ঞা

/এফএস/