দু’দিনে ২টি ইঞ্জিন লাইনচ্যুত: এবার বাঁকা লুপ লাইন সোজা করছে রেলওয়ে

লাইনচ্যুত ইঞ্জিনের পাশে রেল কর্মকর্তারাসিরাজগঞ্জের রেলওয়ে বাজার স্টেশনের সদ্য নির্মিত আলোচিত লুপ লাইনে ‘রাজশাহী এক্সপ্রেস লোকাল’ ট্রেনের পর সোমবার রাতে লাইনচ্যুত হয় ‘সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর’ ট্রেনের ইঞ্জিন। ঢাকার কমলাপুর থেকে বাজার স্টেশনে আসার পর রাত ১০টায় ইঞ্জিন সান্টিংয়ের সময় এর দু’টি চাকা বাঁকা লুপ লাইনের একই স্থানে লাইনচ্যুত হয়। আর এ কারণে পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের প্রকৌশলীদের টনক নড়ে। নকশা ও পরিকল্পনাবিহীন লুপ লাইন তৈরি করার পর দু’দিনে দু’টি ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ায় সেই লুপ লাইন পরিদর্শনে এলেন রেল বিভাগের এক কর্মকর্তা।

বাঁকা লুপ লাইনের উত্তরদিকে অংশ সোজা করতে শুরু হয় তাদের ফের কসরত। বাঁকা লুপ লাইন সোজা করনের কাজে রেলের ভুমি দখলকারী এস.আই,কাউন্টার বাস সার্ভিস, ওভি কাউন্টার বাস সার্ভিস ও জলিল হোটেলসহ বেশ ক’টি স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলীসহ স্থানীয় রেল বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রেল বিভাগের দ্বিতীয় দফা উচ্ছেদ দেখতে শহরবাসি ভীড় করেন।

প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলী এ সময়ে বলেন, ‘বাজার স্টেশনটি বাঁকা হওয়ায় লুপ লাইনটি আমরা বাধ্য হয়ে বাঁকাভাবে তৈরি করি। মাত্র একদিনের ব্যবধানে ‘রাজশাহী এক্সপ্রেস লোকাল’ ট্রেন ও ‘সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর’ ট্রেনের ইঞ্জিন পর পর লাইনচ্যুত হওয়ায় লুপ লাইন সোজা করণের পরিকল্পনা করা হয়। এরই অংশ হিসেবে লুপ লাইনের উত্তরদিকে পশ্চিমপাশের অবৈধ স্থাপনাসমূহ উচ্ছেদ করা হচ্ছে। উচ্ছেদের পর লুপ লাইন সোজা করণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন বাজার স্টেশন থেকে সরাসরি ঢাকায় চলাচলে পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ দু’কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় আধা কি.মি. দীর্ঘ লুপ লাইন স্থাপন করে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সওয়েল কোম্পানি এ লুপ লাইনের কাজ করে।

/এএ/