বগুড়ায় স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় মামলা

বগুড়াবগুড়া শহরের এমএ খান লেনের গোল্ডেন মার্কেটে শনিবার সন্ধ্যায় আল-হাসান নামে একটি জুয়েলার্সে ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতেই ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক গোলজার রহমান আটক আলমগীরের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।  এ ঘটনায় আলমগীর হোসেন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেন মামলা দায়ের করার বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে ৭-৮ জনের একদল ডাকাত শহরের সাতমাথার কাছে ওই জুয়েলার্সের কাছে আসেন। এ সময় ২ থেকে ৩ জন ক্রেতা সেজে জুয়েলার্সের দোকানে ঢুকে আংটির দরদাম করছিল। এক পর্যায়ে তারা মুখোশ পড়ে  মালিক গোলজারের পায়ে গুলি করে। এরপর অস্ত্রের মুখে মালিক ও কর্মচারীদের জিম্মি করে সিন্দুকের চাবি নেয়।

জুয়েলার্সের মালিক গোলজার রহমান দাবি করেন, ডাকাতরা সিন্দুক খুলে ও শোকেস ভেঙে প্রায় ৫০০ ভরি সোনার গহনা এবং নগদ ৫ লাখ টাকা বস্তায় তোলে। এরপর জুয়েলার্সের সিসি ক্যামেরার ডিভাইস খুলে পালিয়ে যায়। যাওয়ার আগে ও ডাকাতির সময় তারা অন্তত ২০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটনায়। ককটেলের আঘাতে পথচারী রবিউল ইসলাম ও জাকির হোসেন আহত হন।

ঘটনার পরপরই পুলিশ বগুড়ার শাজাহানপুরের নয়মাইল এলাকায় গুলি করে মাইক্রোবাসটি  থামতে বাধ্য করে। সেখানে গুলিতে ডাকাত আলমগীর হোসেন আহত হন। আহত চারজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

ওসি এমদাদ হোসেন বলেন, আটক করা মাইক্রোবাসে ৪ কেজি ২১৪ গ্রাম গহনা পাওয়া গেলেও কোন টাকা ছিলনা। তারা নরসিংদিতেও একই কায়দায় ডাকাতি করেছে। মাইক্রোবাসটি পূবালী ব্যাংক ঢাকার একটি শাখা থেকে নেওয়া ঋনে কেনা।

ওসি দাবি করেন, এ ডাকাতির ঘটনায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে। অভিযান চলছে। তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা সম্ভব নয়।

/এমডিপি/