বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সরকারি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও ঘোষিত বন্ধের দিন ছিল না। যথারীতি ক্লাস চালু থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪টি বিভাগের কোনও বিভাগের ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি। আগামীকাল বুধবারও ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঢাকায় ছাত্রলীগের কর্মী সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বাস দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের বাস দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস প্রতিনিধিদের ডেকে ক্লাসে অংশ না নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এ কারণে শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার ক্লাসে অংশ নেয়নি।’
আগামীকালও তারা ক্লাসে আসবেন না বলেও ওই শিক্ষক জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রহমান নিবিড় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না আসার বিষয়টি শুনেছি। তবে কি কারণে শিক্ষার্থীরা আসেনি তা আমার জানা নেই। আর আমি এখন ঢাকায় আছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক এন এইচ এম কামরুজ্জামান সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের ক্লাস যথারীতি চলছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আজ ক্লাসে আসেনি তাই ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি। এর আগেও শিক্ষার্থীরা অটো (স্বেচ্ছায় ক্লাস বর্জন) নিয়েছে।’ তবে কি কারণে এক সঙ্গে সব বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অংশ নেয়নি, সেই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল আলম বেগ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কেন ক্লাসে আসেনি, সে বিষয়ে আমার জানা নেই। কেউ লিখিতভাবে আমাকে কোনও অভিযোগও দেয়নি। তাই কি কারণে তারা ক্লাসে আসেনি তা আমি বলতে পারবো না।’
/এমডিপি/