মারধরের শিকার শিলু হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. শামসুজ্জোহা হলে ৩১৬ নম্বর কক্ষে থাকেন। অন্যদিকে, মারধরের অভিযোগ ওঠা বোরজাহান আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. শামসুজ্জোহা হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী শিলু হোসেন বলেন, আজ ফারুক হত্যা দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্য ওই হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বরজাহান আমার রুমে আসে। আমি দুই-এক মিনিটের মধ্যেই আসছি বলে তাকে জানাই। তখন ওই নেতা বলে, ‘আমাকে চেন?’ আমি বলি, চিনি। নেতা আমাকে তার নাম বলতে বললে আমি বলি, বোরজাহান। কিন্তু ‘বোরজাহান আলী’ না বলায় সে আমাকে মারধর করে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বোরজাহান আলী বলেন, আজকে আমাদের কর্মসূচি ছিল, কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য আমাদের ছেলেপেলে গিয়ে ডেকে আসে। আমিও পরে ডাকতে যাই। শিলুকে ডাকতে গেলে ও আমার সঙ্গে বেয়াদবি করে তাই আমি তাকে ধাক্কা দিয়েছি, মারিনি।
এদিকে, কর্মসূচিতে আসা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব হলেই শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন হলের সামনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে আছেন। শিক্ষার্থীরা ক্লাস বা পরীক্ষার উদ্দেশে বের হলে তাদের আটকানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের কোনও কর্মসূচি থাকলে শিক্ষার্থীদের রুমে গিয়ে তাদের জোর করে কর্মসূচিতে নিয়ে আসা হয়। আসতে না চাইলে তাদের বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘আমি প্রত্যেক হলের নেতাকর্মীদের বলে এসেছি, কাউকে জোর করে অনুষ্ঠানে আনা যাবে না। শিক্ষার্থীদের আসার জন্য বলবে, তারা স্বেচ্ছায় আসলে ভালো, না আসলে সমস্যা নাই। তারপরও এরকম একটা ঘটনা ঘটে গেছে। আমি তাদের সঙ্গে আমাদের অনুষ্ঠান শেষে বসবো। এরপর বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
/এআর/