এমপি লিটন হত্যা: গ্রেফতার জাপা নেতা ডা. কাদেরের বাসায় মেলেনি কিছুই

গাইবান্ধায় এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও ভাইস চেয়ারম্যান ডা. কর্নেল (অব.) এ কাদের খানকে মঙ্গলবার বিকালে বগুড়া থেকে গ্রেফতারের পর তার রহমাননগরের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। তবে সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ স্বীকার করেছে।

গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডা. কাদের খানকেতল্লাশি শেষে গাইবান্ধার সিনিয়র এএসপি (সি-সার্কেল) রেজিনুর রহমান জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডা. কাদের খানকে গাইবান্ধা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তার বাসায় তল্লাশি করে কিছু পাওয়া যায়নি। কাদের আগেই তার লাইসেন্স করা অস্ত্র সুন্দরগঞ্জ থানায় জমা দিয়েছেন।
ডা. কাদের খানের স্ত্রী ডা. নাসিমা বেগম জানান, গাইবান্ধা পুলিশের বিশেষ শাখার ওসি মাহবুবুর রহমান, বগুড়ার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমিরুল ইসলামসহ সুন্দরগঞ্জের পুলিশ কর্মকর্তারা বিকেল ৫টায় বাসায় এসে তাকে (কাদের) নিয়ে যায়। তবে, তারা কোনও ওয়ারেন্ট দেখাতে পারেননি।
ডা. নাসিমা আরও বলেন, ‘নির্বাচন করবে এমন ঘোষণা দেওয়ার কারণে নিরাপত্তা দেওয়ার নাম করে গত ৫ দিন ধরে পুলিশ বাসার ভেতরে ও আশেপাশে অবস্থান নেওয়া শুরু করে। এ কারণে বিরক্ত হয়ে তিনি নির্বাচন করবেন না বলে ঘোষণা দেন। এরপর আজ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ।’
এদিকে গত শুক্রবার সাবেক এমপি ডা. কর্ণেল (অব.) এ কাদের খান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গাইবান্ধার পুলিশ সুপার তাকে ফোনে জানিয়েছিলেন জঙ্গি হামলা হতে পারে তাই তার বগুড়ার বাসায় তাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এরপর আজ মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি বিমর্ষ অবস্থায় শুধু বলেন, ‘সময় সত্যটা বলে দেবে।’ ডা. কর্ণেল (অব.) এ কাদের খানের বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক খিজির উদ্দিন জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে এ গ্রেফতার ষড়যন্ত্রের অংশ।

/টিএন/আপ-এমও/