বাড়ি ছাড়ার আগে ছবিসহ তার সব কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলে জঙ্গি মুসা

জঙ্গি মুসা

জঙ্গি মুসা বাগমারা থেকে নিজের জমিজমা বিক্রি করে চলে যায়। মুসা গ্রামে থেকে যাওয়ার আগে বাড়িতে থাকা তার ছবিসহ বেশ কিছু কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলেছিল বলে জানান তার মা। এরপর থেকে সে পরিবারের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেনি। মুসার মায়ের বরাত দিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে কথাগুলো জানান বাগমারা থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ।

মঙ্গলবার রাত ১০টায় রাজশাহীর বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহম্মেদ আরও জানান, সিলেটের শিববাড়ি আতিয়া মহলের জঙ্গি আস্তানায় নিহত এক যুবকের সঙ্গে নব্য জেএমবি’র শীর্ষ নেতা মঈনুল ইসলাম ওরফে মুসার চেহারার মিল পাওয়া গেছে। তবে লাশ সনাক্ত কিংবা নেওয়ার জন্য পরিবারের কাছে খবর পাঠানোর জন্য এখন পর্যন্ত কোনও নির্দেশনা পায়নি বাগমারা থানা পুলিশ। তবে পুলিশ সদর দফতর থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হবে তা মুসার পরিবারকে জানানো হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সাল থেকেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে জেএমবির অন্যতম শীর্ষ নেতা মঈনুল ইসলাম ওরফে মুসা। ওই সময় রাজশাহী অঞ্চলে বাংলা ভাইয়ের অপারেশন শুরু হলে তার হাত ধরেই সে জেএমবিতে যোগ দেয়। এমনকি বাংলা ভাইয়ের অন্যতম সহযোগী হিসেবে মুসা কাজ করতে থাকেন। বয়সে ছোট হওয়ায় সে সময় প্রশাসনের নজরে আসেনি জঙ্গি মুসা। ওই সময় মুসা বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। সেখান থেকে এইচএসসি পাস করার পর তিনি রাজশাহী কলেজে ভর্তি হয়। পরে রাজশাহী কলেজ থেকে টিসি নিয়ে ভর্তি হয় ঢাকা কলেজে। সেখান থেকে মুসা ইংরেজিতে মাস্টার্স পাস করে। এরপর একটি ইংলিশ মিডিয়ামে চাকরির পাশাপাশি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবিকে গুছানোর কাজ শুরু করে।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: মৌলভীবাজারে দুই জঙ্গি আস্তানার কাছেই ১৪৪ ধারা জারি