ছয় মাসেও চার্জশিট নেই লিপু হত্যাকাণ্ডের

মোতালেব হোসেন লিপুরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু হত্যা মামলার ছয় মাসেও চার্জশিট জমা পড়েনি। উদঘাটন হয়নি হত্যার কারণ। এদিকে দুই জনের হাত বদল হয়ে মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে আছে। কিন্তু চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনও আলোর মুখ দেখেনি।

মামলার তদন্তকারী সিআইডির এক কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, ‘লিপুকে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পরে এমন কয়েকজনকে আমরা টার্গেটে নিয়েছি। তাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ চলছে। আশা করছি, ১০-১৫ দিনের মধ্যে তদন্তে ভালো অগ্রগতি হবে।’

২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ড্রেন থেকে লিপুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধারের দিন মহানগর পুলিশ কমিশনার, পিবিআই, র‌্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লিপুকে হত্যা করা হয়েছিল বলে ওই সময় পুলিশ ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ওইদিন বিকালেই লিপুর চাচা মো. বশীর বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

লাশ উদ্ধারের দিন লিপুর রুমমেট মনিরুল ইসলামকে আটক করা হয়। তিনদিন পর হত্যা মামলায় মনিরুলকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। কিন্তু ৮ নভেম্বর জজকোর্ট থেকে মনিরুল জামিন পায়। জামিনের আগে মনিরুলকে চারদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে মনিরুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্ভব বলে তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা অশোক চৌহান দাবি করেছিলেন। এরপর মামলার তদন্তভার পান মাহবুব হাসান। এরপর গত ২০ জানুয়ারি মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।

/এফএস/

আরও পড়ুন- 




ফুরফুরে এরশাদ, চাঙ্গা জাপা