এর আগে সকালে সিটিটিসির সহকারী কমিশনার তৌহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, ঢাকা থেকে সিটিটিসি’র সোয়াট টিমের সদস্যরা এসে পৌঁছানোর পরপরই অভিযান শুরু হবে।
পুলিশের রাজশাহী বিভাগীয় এডিশনাল ডিআইজি ইসারুল আরেফিনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলের কাছে উপস্থিত আছেন।
একটি আমবাগানের ভেতর বাড়িটির অবস্থান। ভোরবেলা বাড়িটি ঘেরাও করার পরপরই কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সাধারণ লোকজনের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণের জন্য আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
সিটিটিসি সূত্রে আরও জানা গেছে, বাড়ির মালিকের নাম ঝিন্টু হাজি। তিনি সেখানে থাকেন না। আবু বক্কর নামের একজন প্রায় দুই মাস আগে বাড়িটি ভাড়া নেয়। স্ত্রীকে নিয়ে সে ওই বাড়িতে ওঠে। আবুই জঙ্গি বলে ধারণা পুলিশের।
কাউন্টার টেরোরিজমের এক কর্মকর্তা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে প্রথমে কানসাট ইউনিয়নের আব্বাস বাজার এলাকার তিনটি বাড়ি ঘেরাও করা হয়। তবে সেখানে জঙ্গির কোনও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পরে শিবগনগর এলাকায় অন্য একটি বাড়ি ঘেরাও করে তল্লাশি শুরু করতে যায় কাউন্টার টেরোরিজমের সদস্যরা। এসময় ওই বাড়ি থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়া হয়। জবাবে পুলিশও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
শিবগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, 'মঙ্গলবার রাত থেকেই সিটিটিসি'র সদস্যরা ওই বাড়িতে অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। ভোরের দিকে জঙ্গিরা গ্রেনেড ছুড়েছে বলে শুনেছি। তবে আমি তখন সেখানে ছিলাম।'
চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার টি এম মোজাহিদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'সিটিটিসি কাজ করছে। আমরা তাদের সহযোগিতা করছি। তবে ভেতরের পরিস্থিতি কী তা বলতে পারবো না। শুনেছি ভেতর থেকে জঙ্গিরা গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে।'
/বিএল/
এ সংক্রান্ত আগের খবর:
সোয়াট এসে পৌঁছালেই অভিযান: সিটিটিসি