আহতরা হলেন, নারী কাউন্সিলর মুসলিমা বেলী, নুরুন্নাহার বেগম ও নাসিরা বেগম, অফিস সহায়ক আহামদ্দুন নবী ও শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যানের মালি জালাল উদ্দিন।
জানা গেছে, কর্মচারীদের ১১ দফা দাবির কারণে ১৫ ভাগ বেতন বৃদ্ধির একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়ে বিকালে স্থায়ী কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিকদের আন্দোলন নিয়ে বক্তব্য দেন ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল হামিদ টেকন। তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ‘শ্রমিকরা যে আন্দোলন করেছে তা জঙ্গিদের মতো। নগর ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করাটা শ্রমিকদের ঠিক হয়নি।’ তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য দাবি জানান রাসিক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল শেখ, সাধারণ সম্পাদক আজমির আহমেদ মামুনসহ ১১ দফা দাবির সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা। এর এক পর্যায়ে মেয়রের উপস্থিতিতেই শুরু হয় মারামারি। এতে কাউন্সিলরসহ পাঁচজন আহত হন।
আহত রাসিকের নারী কাউন্সিলর নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘মতবিনিময় সভায় যে যার মতো বক্তব্য দিতে পারে। সেটির প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণভাবে করা যেতো। কিন্তু শ্রমিকদের একাংশ ইচ্ছে করেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।’
ঘটনার পরপরই নগর ভবনে পুলিশ উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে রাসিক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল মতবিনিময় সভা শেষ করে বলেন, তাদের দাবি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে। তাদের দাবি মেনে ১৫ ভাগ বেতন বাড়ানো হয়েছে। পরিচ্ছন্নকর্মীদের আরও ১০ টাকা করে বেশি বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিটি মেয়র বুলবুল আরও বলেন, ‘মতবিনিময় সভায় শ্রমিকরা যেভাবে নারী কাউন্সিলরদের ওপরে হামলা চালিয়েছে তা এক ধরনের ধৃষ্ঠতা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
/এফএস/