সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে শহরের চকসুত্রাপুর ও বাদুড়তলা এলাকায় জনগণের সঙ্গে কথা বললে অনেকে রুমকি, তুফানসহ অন্যদের গ্রেফতারে সন্তোষ প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক জনপ্রতিনিধি অভিযোগ করেন, বেশ কয়েক বছর আগে রুমকি বগুড়া পৌরসভার নগর অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্পের বাদুড়তলা কুলিপট্টি সিডিসির ক্যাশিয়ার ছিলেন। ওই সময় শুধু এলাকায় নয়; পৌরসভাতে গিয়েও মাদকসেবীদের কাছে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদক বিক্রি করতো। গত ২০১৫ সালে পৌরসভার নির্বাচনে ভগ্নিপতি ‘তুফান বাহিনীর’ সহায়তায় ২ নম্বর সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর হয়। পৌরসভায় সেবা নিতে আসা জনগণের কাছে জোর করে টাকা আদায়সহ সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় তার ওপর সবাই ক্ষিপ্ত।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বগুড়া পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কোনও নাগরিক নিজের বাড়ি বানানো, সংস্কারসহ অন্যান্য কাজ করলেও রুমকিকে বাধ্যতামূলক চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে সে কোনও কাজ করতে দেয় না। পৌর এলাকায় বিলবোর্ড স্থাপনসহ যেকোনও কাজে তাকে চাঁদা দেওয়াটাও বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এলাকাবাসী বলেন, রুমকির কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। সে গ্রেফতার হওয়ায় অনেকে মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) এক ছাত্রী ও তার মাকে নির্যাতন এবং মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকায় আলোচনায় আসেন কাউন্সিলর রুমকি। এ মামলায় রবিবার (৩০ জুলাই) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয। পরে আদালত সোমবার (৩১ জুলাই) তাকে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। রুমকিকে আদালতে আনার পর পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার সময় আদালতে প্রচণ্ড ভিড় হয়। এসময় জনগণ তাকে লক্ষ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
/এআর/টিএন/