সদর থানার সদর থানার ওসি হেলাল উদ্দিন মামলা রজুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিদর্শক (অপারেশন) মো. নুরুল ইসলামকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত এসব সরকারি চাল কিভাবে, কোথা থেকে সংগ্রহ করা হলো বা কারা এসব কালোবাজারে বিক্রি করেছে, তা জানা দরকার। আর সেজন্যই র্যাবের অভিযানে কালোবাজারি বেলকুচির আব্দুর রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। আসামিকে রিমান্ডে এনে এসব তথ্য বের করতে হবে।
তিনি আরও জানান, রিমান্ডের আবেদনের আগে পুলিশের সদর সার্কেল অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন সদর থানায় আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি রাজ্জাক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেও তদন্তের স্বার্থে তা এখন বলা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ এর অপরাধ দমন বিশেষ শাখার দল বুধবার সকালে জেলা শহরের সওজ উপ-বিভাগ অফিস সংলগ্ন বেলকুচির রাজ্জাকের গোডাউনে অভিযান চালায়। সরকারি খাদ্য বিভাগের সিলমোহরযুক্ত ১ হাজার ৭১৩ পিস ৫০ কেজির বস্তায় ৭৫ মেট্রিক টন ৩৯০ কেজি চাল জব্দ করে।
র্যাব-১২ এর অপরাধ দমন শাখার অধিনায়ক মেজর সাফায়াত সুমন বলেন, হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডি কার্যক্রমের এসব সরকারি চাল বেলকুচির বিভিন্ন ইউনিয়নে যথাযথ বন্টন না করে কতিপয় অসাধু জনপ্রতিনিধি বা তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজনের সঙ্গে যোগসাজসে কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আটক রাজ্জাক ওইসব চাল কালোবাজারে কিনে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে গুদামজাত করেছে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রাঘব-বোয়ালরাও বেরিয়ে আসতে পারে।