বিচ্ছেদ ঠেকাতে রাবি ছাত্রীকে অপহরণ, স্বামীসহ গ্রেফতার ৩

অপহৃত রাবি ছাত্রীর স্বামী সোহেল রানা

বিবাহ বিচ্ছেদ ঠেকানোর জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিবাহ বিচ্ছেদ প্রত্যাহার করানোর জন্য তাকে জোর করে ঢাকার একটি কাজী অফিসে নিয়ে গিয়েছিল তার সাবেক স্বামী সোহেল রানা। সেখান থেকেই ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর সাবেক স্বামীসহ তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। রবিবার (১৯নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য জানান।

মাহবুবুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে উদ্ধারের পর তাদের শনিবার রাতে রাজশাহীতে আনা হয়। ছাত্রীকে রাজশাহীর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। পরে রবিবার সকালে তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন ওই ছাত্রীর সাবেক স্বামী সোহেল রানা, সোহেলের বাবা জয়নাল আবেদীন এবং মাইক্রোবাসের চালক জাহিদুল ইসলাম।

পুলিশ কমিশনার জানান, এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। কিছুদিন আগে সোহেলকে ডিভোর্স দেন ওই ছাত্রী। ডিভোর্স অফিসিয়ালি কার্যকর হতে তিন মাস সময় লাগবে। এ বিচ্ছেদ ঠেকানোর জন্য সোহেল রানা শুক্রবার ক্যাম্পাস থেকে জোর করে তাকে তুলে নিয়ে যান।

এদিকে, মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান, মামলায় গ্রেফতারকৃতদের রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আসামিদের ৫ দিনের রিমাণ্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন। কিন্তু এখনো শুনানি হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের চুড়ান্ত পরীক্ষা দিতে তাপসী রাবেয়া আবাসিক হল থেকে বের হয়েছিলেন ওই ছাত্রী। এ সময় সোহেল রানা জোরপূর্বক তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীর সন্ধান চেয়ে বিকাল ৪টা থেকে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। ওইদিন সন্ধ্যায় মতিহার থানায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় সোহেল রানাসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়। পরে রাতে ওই সোহেলের বাবা জয়নাল আবেদীনকে নওগাঁর পত্নীতলা থেকে আটক করা হয়।

আরও পড়ুন: সেতু থেকে নদীতে লাফিয়ে পড়ে ছাত্রের আত্মহত্যা