রায়ের দ্রুত বাস্তবায়ন চান রূপার স্বজনরা

 

জাকিয়া সুলতানা রূপা (ছবি: সংগৃহীত)টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে সিরাজগঞ্জের তাড়াশের জাকিয়া সুলতানা রূপাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় চার জনের ফাঁসি ও একজনের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই রায় যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয় তার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

রূপার মা হাসনাহেনা রায় শুনে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মোবাইলে বলেন, ‘আমরা রায় দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।’

টাঙ্গাইলের আদালতে থাকা মামলার বাদী রূপার বড় ভাই হাফিজুর রহমান ও ছোট বোন পপি খাতুন বলেন, ‘আসামিদের ফাঁসি কার্যকর হলেই আমার বোনের আত্মা শান্তি পাবে।’

এদিকে রায় শুনে স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী ম.ম আমজাদ হোসেন মিলন সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এর আগে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া অভিযুক্ত বাসের শ্রমিক শামীম (২৬), আকরাম (৩৫), জাহাঙ্গীর (১৯) ও চালক হাবিবুরের (৪৫) ফাঁসির আদেশ দেন। এছাড়া সুপারভাইজার সফর আলীকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়।সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৫ আগস্ট শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শেষে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে চলন্ত ছোয়া পরিবহনের বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন সেরকারি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি রূপা। চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় তাকে। এরপর লাশ মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকেরা। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে মধুপুর থানা পুলিশ ওই রাতেই রূপার লাশ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরের দিন পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোয়া পরিবহনের হেলপার শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর, চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।