এ ঘটনায় ছাত্রীর নানা আলতাফ হোসেন সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শাজাহানপুর থানায় লিখনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, ‘তুচ্ছ কোনও বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডার জের ধরে লিখন ওই কলেজছাত্রী ও তার নানিকে ছুরিকাঘাত করেছে।’
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, শাজাহানপুর উপজেলার চক-কানপাড়ার তাইজুল ইসলামের মেয়ে চৈতি বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল ও কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তাকে একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে লিখন দীর্ঘদিন প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিল। সাড়া না পেয়ে লিখন তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। রবিবার বেলা ১টায় কলেজ ছুটির পর চৈতি বাড়ি ফিরছিল। এ সময় লিখন তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। বাধ্য হয়ে চৈতি বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। লিখন প্রাচীর টপকে বাড়িতে ঢুকে চৈতির কাঁধের নিচে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় নানি আফরোজা এগিয়ে এলে লিখন তার মাথা ও কাঁধে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, লিখন ও চৈতির মধ্যে প্রেমঘটিত কোনও বিষয় নিয়ে মতবিরোধ হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লিখন বাড়িতে ঢুকে চৈতি ও তার নানিকে ছুরিকাঘাত করে। এ ব্যাপারে চৈতির নানা থানায় লিখনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সোমবার বিকাল পর্যন্ত লিখনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।