বাঁধের দক্ষিণের ৪নং গেটটি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে সোমবার সকালে তারা পাউবোর কাছে স্মারকলিপি দেন। স্মারকলিপি দেওয়ার সময় পৌরসভার ১নং প্যানেল মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম হাশেম, জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মো. গোলজার হোসেন এবং কাওয়াখোলা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিমসহ কয়েকশ’ শহর ও চরবাসী পাউবোর কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপি জমা নিতে বিলম্ব করায় পাউবোর প্রকৌশলীদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের কিছুটা বাগবিণ্ডাতারও সৃষ্টি হয় বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।
জেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি মো. গোলজার হোসেন বলেন, ‘বাঁধটি আমাদের পাশাপাশি জাতীয় সম্পদ। বাঁধের নিচে নৌকা ঘাট সরকারিভাবেই ইজারা দেওয়া। পাশে বাঁধ এলাকায় রাসেল স্মৃতি পার্কও রয়েছে। বাঁধের নিচে নৌকা ঘাট দিয়ে কয়েক হাজার চরবাসী প্রতিদিনই চলাচল করে থাকেন। এতদিন গেট খোলা থাকলেও নির্বাহী প্রকৌশলী হঠাৎ যোগদান করেই এক দিনের মধ্যেই সব পরিবর্তন করতে চাইছেন, সেটা মোটেই শুভকর নয়।’
পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষায় যমুনার পশ্চিম পাড়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আড়াই কি.মি. দের্ঘ্যৈর বাঁধটি দুই দশক আগে নির্মাণ করা হয়। বাঁধটি বার বার ভাঙন ঝুঁকিতে পড়ায় আরও প্রায় ৫/৬ শ’ কোটি টাকার শক্তিশালীকরণ প্রকল্পও গ্রহণ করা হয়। বাঁধের দু’পাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, হাট-বাজার স্থাপন এবং বাঁধের ওপর দিয়ে অবৈধভাবে বালি ও পাথরের ট্রাক চলাচল করায় বাঁধটি বর্তমানে নতুন করে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বাঁধটির সুরক্ষায় বাঁধের উত্তরের দিকে কিছু বালি ব্যবসায়ীদের অবৈধ বালি সংরক্ষণের বিপরীতে জেলা প্রশাসন থেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে গত কয়েকদিন আগে বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া বাঁধের দুই পাশে অবৈধ বসবাসকারীদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। বাঁধের ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন বন্ধে ৪টি গেটের দক্ষিণেরটি গত রবিবার বন্ধ করা হয়েছে।’
নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু বাঁধ এলাকা কেপিআই এলাকা, তাই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম বা যানবাহন চলাচল বন্ধ বা গেট বন্ধ করা বাঁধের সুরক্ষারও অংশ বিশেষ। এখানে আমাদের কোনও স্বার্থ নেই। বাঁধের স্বার্থেই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনও জানেন। বাঁধ সুরক্ষায় গেট বন্ধ করায় কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও শহরবাসী স্মারকলিপি প্রদানের নামে এসে আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়েছে। যেটা কখনওই কাম্য নয়।’