মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধুনটের ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের মাধবডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেনের সঙ্গে আট বছর আগে বিয়ে হয় ধুনট সদরপাড়ার ইসমাইল হোসেনের মেয়ে আসমা খাতুনের। এই দম্পতির দুইটি সন্তান রয়েছে। গত একবছর ধরে যৌতুকের জন্য আসমার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছেন বকুল। এ নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিস হলেও বকুল নির্যাতন বন্ধ করেননি। গত ৯ এপ্রিল রাতে যৌতুক নিয়ে বাকবিতণ্ডার সময় তিনি স্ত্রী আসমাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে আসমার মাথা ন্যাড়া করে দেন। এরপর থেকেই আসমাকে বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন অব্যাহত রাখা হয়। তাকে তাকে বাড়ির বাইরে যেতে দেওয়া হয় না এবং কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেওয়া হয় না।
এক সপ্তাহ পর বিষয়টি টের পেয়ে আসমার বাবা ইসমাইল হোসেন সোমবার তাকে দেখতে যান। তবে তাকে মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেন বকুল। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ইসমাইল মেয়েকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ সময় বকুল পালিয়ে যান।
ধুনট থানায় এ খবর জানালে পুলিশ বকুলদের বাড়িতে এসে তার ভাই শাহ্ আলমকে আটক করে। তবে বকুল পলাতক থাকায় তাকে আটক করা যায়নি।
আসমা খাতুন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভাসুরের উসকানিতে যৌতুক না পেয়ে আমার ওপর দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন করে আসছে বকুল। এক সপ্তাহ আগে জোর করে মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে। এরপর গত কয়েকদিন বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি, বরং আরও নির্যাতন চালিয়েছে। এর মধ্যে কারও সঙ্গে যোগাযোগও করতে দেয়নি।’
ধুনট থানার ওসি খান এরফান বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে নির্যাতিত আসমা খাতুন থানায় এসে তার স্বামী ও ভাসুরের নামে মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে গতকাল (সোমবার) রাতে ভাসুর শাহ্ আলমকে আটক করা হয়েছিল। তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আসমার স্বামী বকুলকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
এদিকে, এ প্রতিবেদকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে স্ত্রীকে নির্যাতন ও আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বকুল হোসেন। তার দাবি, মাথায় খুশকি হওয়ায় স্ত্রী আসমার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে।