পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই জুলহাস উদ্দিন শুক্রবার রাতে শহরের মালগ্রাম দক্ষিণপাড়া থেকে আনোয়ার কসাইয়ের ছেলে আসামি রনিকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে সাহজাহান কবিরের ওপর হামলার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী হামলায় ব্যবহৃত ছুরি ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
রনিকে গ্রেফতারের পরদিন শনিবার বিকালে রনিকে বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলামের আদালতে হাজির করলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ডিবি পুলিশের ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী ও এসআই জুলহাস উদ্দিন জানান, রনি কী কী প্রকাশ করেছে, তদন্তের স্বার্থে তা এখন বলা সম্ভব নয়। তবে পাসপোর্ট অফিসে দালালি বন্ধ করায় সাহজাহান কবিরের ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলার সময় শুভর হাতে চাপাতি ও রনির হাতে চাকু ছিল।
জানা যায়, পাসপোর্ট অফিস দালালমুক্ত ও সেবামুখী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করায় সহকারী পরিচালক সাহজাহান কবিরের ওপর ক্ষুব্ধ হন আশপাশের প্রভাবশালী দালাল ও অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত ২৭ মার্চ স্থানীয় এক পৌর কাউন্সিলরের সমর্থকরা পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে সাহজাহান কবিরকে হুমকি দেন। এর দুই দিন পর ২৯ মার্চ দুপুরে শাজাহানপুর উপজেলার কৈগাড়ি এলাকায় বন বিভাগের কার্যালয়ের ভেতরে কুপিয়ে আহত করা হয় সাহজাহান কবিরকে।
এ ঘটনায় অফিস সহকারী শাজেনুর আলম শাজাহানপুর থানায় মোস্তাকিমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গত ১৮ এপ্রিল রাতে শহরতলির ছিলিমপুর এলাকায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ‘গুলি বিনিময়ের’ ঘটনা ঘটে। এ সময় সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা গ্রামের এম এ হান্নানের ছেলে এজাহারভুক্ত আসামি কলেজছাত্র নূর আরাফাত শুভকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে প্রধান আসামি মোস্তাকিম রহমান, শুভ ও রনি ছাড়াও হাসান আলী, জীবন, রাসেল মিয়া ও মিলুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ শুভ ছাড়া অন্যদের রিমান্ডে নেওয়া হলেও তারা স্বীকারোক্তি দেয়নি। এর মধ্যে কেবল রনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলো।
আরও পড়ুন-
‘খালেক জিতলে শেখ হাসিনা জিতবেন’
বড় হয়ে শেখ হাসিনার মতো প্রধানমন্ত্রী হতে চায় সেঁজুতি