রাজশাহীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী নিহত

বন্ধুকযুদ্ধের পর উদ্ধার হওয়া ফেনসিডিল, গুলি ও পিস্তল

রাজশাহীতে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তার নাম আবুল হাসান ওরফে হাসান ঘাটিয়াল (৪৫)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার সোনাইকান্দী গ্রামের আবদুল মালেক ছেলে।

র‌্যাব বলছে, নিহত আবুল হাসানের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক, অস্ত্র, খুন ও ডাকাতিসহ ১৬টি মামলা রয়েছে। তিনি রাজশাহী অঞ্চলের অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার পশ্চিম নবগঙ্গা এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড গুলি, দুটি গুলির খালি খোসা, ১৪৭ বোতল ফেনসিডিল, চার পিস স্যান্ডেল, একটি টর্চ লাইট, একটি তোয়ালে এবং দুটি সিমকার্ড ও একটি মেমোরিকার্ডসহ একটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে।

র‌্যাব-৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর এএম আশরাফুল ইসলাম জানান, ‘ভারত থেকে ফেনসিডিলের চালান আসছে, এমন খবরের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি দল নবগঙ্গা এলাকায় পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর চার-পাঁচজন মাদক ব্যবসায়ী মাথায় ফেনসিডিলের বস্তা নিয়ে নদী থেকে উপরে উঠছিলেন। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গুলি চালায়। আত্মরক্ষায় র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে এই গোলাগুলি চলে। এ সময় আবুল হোসেন আহত হলে তাকে ফেলে রেখে অন্য মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত আবুল হোসেনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে তার মরদেহ রামেক মর্গে রাখা হয়েছে।

মেজর আশরাফুল ইসলাম জানান, আবুল হোসেনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে পুলিশ। আর এ ঘটনায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় অস্ত্র, মাদক ও র‌্যাবের ওপর হামলার অভিযোগে আলাদা তিনটি মামলা করা হবে।