লিটনের পক্ষে ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মীদের কাজ করার নির্দেশ এমপি'র

ওয়ার্কার্স পার্টির সভায় খায়রুজ্জামান লিটন ও ফজলে হোসেন বাদশারাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে নিজ দলের নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

সোমবার (৯ জুলাই) রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মী সভায় এই নির্দেশ দেন তিনি। সভায় তিনি বলেন, ‘দেশের সব সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যে প্রার্থী দেবে তাকে আমরা সমর্থন দেবো। কারণ, আমরা চাই না, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে বিএনপি-জামায়াত আসুক। তাই সেই সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়নে মঙ্গলবার (১০ জুলাই) থেকে আপনারা রাজশাহীর মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে কাজ করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য বলে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে আমার প্রতি বাধা-নিষেধ আছে। কিন্তু পার্টির কর্মীদের কোনও বাধা নেই। তাই নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিটি কর্মী-সমর্থক মাঠে থাকুন। নৌকার জয় না দেখে কেউ ঘরে ফিরবেন না। মানুষের প্রতি এই যোগাযোগ সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে শুরু করে আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত রাখতে হবে।’

ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মী সভা

রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল সিটি মেয়র হয়ে ছাত্রশিবিরের মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। জামায়াত-শিবির গ্রেনেড মেরে পুলিশকে হত্যা করেছিলেন তিনি। আমরা রাজশাহীর উন্নয়ন চাই। বোমার মিছিল চাই না। আমরা এমন একজন মেয়র চাই, যিনি বোমা মারবেন না। রাজশাহীতে উন্নয়ন করবেন। তিনি নগরবাসীর সুখ-সুবিধার কথা বিবেচনা করবেন। আর এমন প্রার্থী শুধু ১৪ দলের খায়রুজ্জামান লিটন।’

সভায় লিটন বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে আবার শুরু হয়েছে অপপ্রচার। বলা হচ্ছে, আমি মেয়র হলে বস্তি ভাঙবো, নিউমার্কেট ভাঙবো, সাহেববাজার ভাঙবো। আমি বলতে চাই, আওয়ামী লীগ কখনও ভাঙার রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ গড়ার রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগের মতো অন্য কোনও দল সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেশে না, তাদের কথা ভাবে না, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বোঝে  না।’

তিনি বলেন, ‘এবার যদি আমাকে সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে আমি আর সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা একসঙ্গে কাজ করে রাজশাহীকে এগিয়ে নেবো। রাজশাহীকে শুধু শিক্ষা নগরী নয়, শিল্প নগরী হিসেবেও গড়ে তুলবো। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সেখানে এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ, অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দেবেন।’