সিভিল সার্জেন ডা. মোমিনুল হক বলেন, ‘গর্ভবতী মাকে ঠিক সময়ে হাসপাতালে আনার কারণে মায়ের কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে বাচ্চাগুলো চার মাসে ভূমিষ্ট হওয়ার কারণে তাদের বাচানো সম্ভব হয়নি।’
সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ফারহানা বলেন, ‘চার মাস আগে বাচ্চাগুলো গর্ভে আসে। চার মাসের কোনও বাচ্চাকে নিরাপদে পৃথিবীতে আনা কঠিন। বাচ্চাগুলোর শরীরের আকার ঠিকমত আসেনি। তবে গর্ভবতীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসার কারণে মায়ের কোনও অঘটন ঘটেনি।’
স্বজনরা জানান, আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে দেখা যায় গর্ভে ছয়টি বাচ্চা। শনিবার ভোর থেকে পেটে ব্যাথা শুরু হয়। এরপর বাড়িতেই একটি বাচ্চা প্রসব হয়। কিন্তু অবস্থা খারাপের দিকে গেলে হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসকের সহায়তায় নরমাল ডেলিভারিতে আরও পাঁচটি বাচ্চা প্রসব হয়। কিন্তু প্রসবের পর ছয়টি বাচ্চায়ই মারা গেছে।