সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আল আমিন জানান, তার ভায়রা চিকাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক ঈমান আলীর সঙ্গে প্রতিবেশী ঘুতু মিয়ার পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এর জেরে ঈমান আলীকে মারধর করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুলতান মাহমুদ ২০ হাজার টাকা নেন ঘুতু মিয়ার কাছ থেকে।
আল আমিন বলেন, বিষয়টি জানার পর গত ১২ অক্টোবর আমি গ্রাম্য শালিসে বিরোধ মিটিয়ে ফেলতে ঘুতুকে অনুরোধ করি। পরে ঘুতু ফোনে সুলতানকে ডেকে আনলে সে এসেই ধুনট বাজারে আমাকে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। এ ঘটনায় প্রেক্ষিতে পরদিন ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সুপারিশসহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তারা সুলতানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নেওয়ায় সুলতান আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে সুলতান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আল আমিন তরফদার আমার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ধার নিয়েছে। দীর্ঘদিন টাকা ফেরত না দেওয়ায় তার সঙ্গে বাকবিতণ্ড ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এছাড়া কাউকে মারধরের জন্য কারও কাছে টাকা নেওয়া হয়নি।
ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন বলেন, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। দলীয়ভাবে মীমাংসা করে দেওয়া হবে।