সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

01সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তার নাম নরেন গোপাল চক্রবর্তী (২৮)। বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোররাতে তিনি এই হাসপাতালে ভর্তি হন। স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের অবহেলায় গোপাল সকালের দিকে মারা যায়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নরেন জেলার বেলকুচি উপজেলার গারামাসি গ্রামের নব কুমার চক্রবর্তীর ছেলে।

গোপালের মামা উজ্জ্বল চক্রবর্তীর অভিযোগ করেন, শ্বাসকষ্ট হওয়ায় গোপালকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাত একটায় জেলা সদরের হাসপাতালে আনা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শামিমুল ইসলাম দেখে দ্রুত তাকে পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। হাসপাতালের ভর্তির পর রাতে কোনও চিকিৎসক তাকে দেখেননি। ৪০৩ নম্বর রুমে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসককে বারবার অনুরোধ করেও তিনি আসেননি। চিকিৎসা অবহেলা বুধবার সকালে তার ভাগ্নে মারা যায়।

ওয়ার্ডের নার্সিং ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স সেলিনা পারভিন জানান, রাতে ছিলাম না। সকালে রোগী মারা গেছে। একুইট পেইন (পেট ব্যাথা) নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। পাশাপাশি তার অ্যাজমা ও হৃদরোগও ছিল।

ওয়ার্ডের ইনচার্জ সিনিয়র কনসালট্যান্ট আবু রায়হান ভূইয়া বলেন, ‘হাসপাতালে এখন চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে এমন কিছু জটিল রোগী এমন সময় আসেন, সে তখন আমাদেরও করার কিছু থাকে না।’

আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘রোগীর পেটে প্রচণ্ড ব্যথা (অ্যাকিউট অ্যাবডমিন) ও ফুসফুসে সংক্রামন ছিল। যে কারণে তাকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’

তত্ত্বাবধায়ক ডা. রমেশ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘স্বজনরা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তারা মৌখিক বা লিখিত কোনও অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যেতো। তারপরেও এটি খতিয়ে দেখতে আরএমও কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।