জামিনে মুক্ত হিরো আলম

হিরো আলমস্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় ৪৩ দিন কারাভোগের পর মুক্তি পেলেন সিডি ব্যবসায়ী থেকে তারকা বনে যাওয়া আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তিনি কারামুক্ত হন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ নরেশ চন্দ্র সরকার হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যা ৭টায় তার আইনজীবী মাসুদার রহমান স্বপন আদালতের আদেশের কপি কারা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিলে হিরো আলমকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে হিরো আলমকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেওয়া হয়।

গত ৬ মার্চ হিরো আলমের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সাদিয়া বেগম সুমিকে নির্যাতনের অভিযোগ এনে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন সুমির বাবা সাইফুল ইসলাম খোকন। এদিন রাত ১০টার দিকে একই থানায় মামলা করতে গেলে হিরো আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরদিন ৭ মার্চ বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হিরো আলমকে হাজির করা হয়। ওই সময় হিরো আলমের আইনজীবী তার জামিন চাইলে শুনানি শেষে বিচারক তা নামঞ্জুর করে হিরো আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে হিরো আলম বগুড়া কারাগারে ছিলেন।

সিডি ব্যবসায়ী থেকে তারকা বনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচিত হন হিরো আলম। বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামে সিডি বিক্রি এবং পরে ক্যাবল সংযোগের ব্যবসা করতেন তিনি। ক্যাবল সংযোগের ব্যবসার সুবাদে মিউজিক ভিডিও তৈরি শুরু করেন তিনি। প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও এবং ৮০টি ইউটিউব চলচ্চিত্র ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে ট্রল হয়। ‘মার ছক্কা’ নামে একটি চলচ্চিত্রে নায়ক চরিত্রেও অভিনয় করেন তিনি। বলিউড পরিচালক প্রভাত কুমারের ‘বিজু দ্য হিরো’ নামে একটি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধও হয়েছেন তিনি। ইয়াহু ইন্ডিয়ার জরিপ অনুযায়ী, ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা সালমান খানের চেয়েও হিরো আলমকে বেশিবার খোঁজা হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় দেশজুড়ে তাকে নিয়ে আলোচনা হয়।