রাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারধরের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আইন বিভাগের সভাপতি ইমরান আকাশ বাদী হয়ে মতিহার থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এতে নাম উল্লেখ করে ৬ জনকে ও অজ্ঞাত আরও ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার (৮ মে) সকালে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারের বিষয় নিশ্চিত করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে ইমরান হোসেন বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। আজ (বুধবার) সকালে অভিযান চালিয়ে আশিষ (২৪) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে মামলার তদন্তের সুবিধার্থে কারও নাম ও পরিচয় প্রকাশ করছি না। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘আমাদের দুইজনকে মারধর করা হয়েছে। আমরা তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছি। তাদের চিকিৎসা চলছে।’

এ বিষয়ে প্রক্টর মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করা অপরাধ। এ ঘটনায় মতিহার থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশ এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আমি আশা করছি।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা কানন ও মেহেদীর নেতৃত্বে ছয়-সাত জন লিচু বাগানে যান। এসময় বাগানে থাকা প্রহরীরা লিচু খেতে নিষেধ করলে তারা নিজেদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী পরিচয় দেন। এসময় দুই পক্ষে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে প্রহরীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয় এবং লাঠি দিয়ে উপর্যুপুরি আঘাত করে বাগান থেকে পালিয়ে যায়। এতে কানন, মেহেদী, ইমরানসহ সাত ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে কাননের দুই হাত ভেঙে গেছে এবং মেহেদীর পায়ে ও মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। কানন রাবি ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং মেহেদী হাসান আশিক উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। তারা দু’জন রামেকের ৮ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলায় আহত বাকি পাঁচ জনকে রাবি চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।