স্বীকারোক্তিতে রকি জানায়, সাত মাস আগে প্রথম স্ত্রী রকিকে তালাক দিয়ে চলে যায়। এক মাস আগে ফারজানাকে বিয়ে করে সে। বিয়ের পর ফারজানা বগুড়া শহরে তার আগের প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি দেখা দেয়। সোমবার সকালে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করে রকি। বাড়ির বাইরে নিয়ে গলাটিপে ও বুকের ওপর পা চাপা দিয়ে ফারজানাকে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ ড্রেনে ফেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবীর জানান, স্বীকারোক্তি রেকর্ডের পর আদালতের নির্দেশে রকিকে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার সকালে নন্দীগ্রামের পারশুন গ্রামের একটি ড্রেন থেকে ফারজানার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই ফারজানার বাবা থানায় রকির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে রকিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।