বনলতা এক্সপ্রেসে বাধ্যতামূলক খাবারের সিদ্ধান্ত বাতিল

বনলতা এক্সপ্রেস

রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিরতিহীন ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ ট্রেনে টিকিটের সঙ্গে বাধ্যতামূলক খাবারের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। গত ১০ মে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্ত আজ শনিবার (১৮ মে) থেকে কার্যকর হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আব্দুল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শনিবার সকাল ৭টায় বনলতা এক্সপ্রেস ৭৫১ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা রওনা হয়। সেখানে আগের মতো টিকিটের সঙ্গে ১৫০ টাকা বাধ্যতামূলক খাবার সরবরাহ করা হয়নি। এখন থেকে বনলতা ট্রেনের যাত্রীরা এভাবে যাতায়াত করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ২৯ মে থেকে রাজশাহী স্টেশন থেকে ঈদের আগাম ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে।’

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা এএমএম শাহ নেওয়াজ জানান, বনলতার বাধ্যতামূলক খাবার বাতিলের পর শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭৫ টাকা এবং স্নিগ্ধা (এসি চেয়ার) ৭২৫ টাকা। সময়সূচি অনুযায়ী, ঢাকা থেকে ট্রেনটি দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে রাজশাহী পৌঁছায় সন্ধ্যা ৬টায়। রাজশাহী থেকে সকাল ৭টায় ছেড়ে ঢাকার কমলাপুরে পৌঁছায় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে। এটি সাপ্তাহিক বন্ধ থাকে শুক্রবার।

গত ২৫ এপ্রিল সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করেন। শুরু থেকে বনলতা এক্সপ্রেসের টিকিটের সঙ্গে বাধ্যতামূলক খাবারের মূল্য ১৫০ টাকা আদায় করা হয়। এতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-২ সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা এবং রাজশাহী-৬ আসনের এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাধ্যতামূলক খাবার বাতিলের জন্য রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রেলওয়ে বাধ্যতামূলক খাবার বাতিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল থেকে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস। শুরু থেকে এর টিকিটের দামের সঙ্গে ১৫০ টাকার খাবার বিলও যুক্ত করা হয়। অত্যাধুনিক এই ট্রেনটিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রথম নিজস্ব ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম সার্ভিসেসের (বিআরসিটিএস) মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করা হয়।