বর্ষার মৃত্যুতে মামলা নিতে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ, ওসি প্রত্যাহার

সুমাইয়া আক্তার বর্ষারাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় যৌন নির্যাতনের বিচার না পেয়ে সুমাইয়া আক্তার বর্ষার (১৪) আত্মহত্যার ঘটনায় মামলা নিতে পুলিশের গাফিলতি অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় মোহনপুর থানার ওসি আবুল হোসেনকে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশের গাফিলতি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে জেলা পুলিশ সদর দফতর থেকে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মামলা দুটি গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ জানান, তদন্ত ও প্রশাসনিক স্বার্থে মোহনপুর থানার ওসি আবুল হোসেনকে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতেখায়ের আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মতিউর রহমানকে প্রধান করে গতকাল (১৯ মে) এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্যের মধ্যে আমিসহ রয়েছেন ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ। এ বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছি। এ ঘটনায় মোট ৯ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

এ মামলার তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘মামলা দুটি জেলা গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করবে। এখন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঠিক হয়নি।’

এ বিষয়ে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হোসেন বলেন, ‘মেয়েটি অসুস্থ থাকায় তাকে আমি নিজেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম, আগে সে সুস্থ হোক পরে মামলার বিষয়টি দেখা যাবে। আমরা তার অভিযোগের ব্যাপারে কোনও গাফিলতি করিনি। পরে অপহরণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় দুটি মামলায় মুকুলকে প্রধান করে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ মে সন্ধ্যায় মোহনপুর উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে বাকশিমইল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বর্ষার লাশ উদ্ধার করা হয়। বর্ষা নিজ রুমে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার আগে সে একটি চিরকুটে যৌন নিপীড়নের বিচার না পাওয়ার কথা লিখে গেছে।

আরও পড়ুন...
বর্ষা আত্মহত্যা মামলায় ছয় আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন

আত্মহত্যার আগে চিরকুটে যা লিখেছিল বর্ষা