সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে, নিচু এলাকা প্লাবিত

গবাদিপশু ও জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন বন্যাকবলিতরাটানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যমুনার পানি বাড়ায় বগুড়ার সারিয়াকান্দির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় সারিয়াকান্দি ও ধুনট পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে সারিয়াকান্দির চরাঞ্চল কামালপুর, রহদহ, ঘুঘুদহ, চন্দনবাইশা, ধলিরকান্দি ও কুতুবপুরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে, আউশ-আমন বীজতলা ও শাকসবজির ক্ষেত।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, সারিয়াকান্দি ও ধুনট পয়েন্টে সন্ধ্যা ৬টায় পানি বিপদসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। পানি বাড়া অব্যাহত রয়েছে। তবে বাঙালি নদীর পানি সন্ধ্যায় বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

হাসান মাহমুদ আরও জানান, যমুনার পানি সারিয়াকান্দির গোদাখালি ও ধুনটের কয়াগাড়িতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হলেও বাঁধে ভাঙনের কোনও সম্ভাবনা নেই। পাড়ের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ভাঙনও কমে গেছে।

নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছেন বন্যাকবলিতরাশনিবার দুপুরে সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের ধলিরকান্দি, বয়রাকান্দি; চন্দনবাইশা ইউনিয়নের চন্দনবাইশা ও ঘুঘুমারি এবং কামালপুর ইউনিয়নের রৌহদহ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বন্যাকবলিত এলাকার লোকজন তাদের গবাদিপশু, হাঁড়িপাতিলসহ নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাচ্ছেন।

বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমেদ জানান, বন্যার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে নিয়ে সভা করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ সামগ্রীও প্রস্তুত রয়েছে। সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা হচ্ছে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল আলম জানান, চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার ১৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, নিজাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ওঠায় অন্যত্র পাঠদান চলছে।