চরবাসীর মধ্যে কোরবানির মাংস বণ্টনের জন্য তারা কেউ কেউ ছুটে আসেন ঢাকা থেকে। মাংস বণ্টনের আগে চরবাসীকে কিছু আনন্দময় ইভেন্টও উপহার দেন তারা। ইভেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে চরের সাধারণ নারীদের নিয়ে মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা। বয়স্ক ও তরুণদের জন্য দৌড় ও শিশুদের জন্য মোরগযুদ্ধ প্রতিযোগিতা। প্রতিটি ইভেন্টে প্রতিযোগীদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের বালতি, জগ, গামলাসহ অন্যান্য সামগী উপহার দেওয়া হয়।
ফোরামটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা এ আয়োজন শুরু করেছিল মাংস রান্না করে খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে। মাংস পরিবহন বেশ ঝামেলা ও সংরক্ষণ করাও কঠিন। ঢাকায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অনেক মাংস পান এবং রাতে বিক্রি করে দেন। তবে বানভাসি বা দূরের সুবিধাবঞ্চিত গ্রামের মানুষ সহজে মাংস সংগ্রহ করতে পারেন না। তাই কোরবানির মাংস উপযুক্ত মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই তাদের লক্ষ্য।
সংগঠনটির স্থানীয় সমন্বয়কারী সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার আমলাপাড়ার অধিবাসী হাসিবুর রহমান বলেন, ‘সংগঠনের মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল থেকে আমরা নিজেরাই গরু কিনি, টোকেন বিতরণ করি, টোকেনের মাধ্যমে লাইন করে মাংস বিতরণ করি। আমরা ঈদের তৃতীয় দিন কোরবানির ব্যবস্থা করেছি। এর কারণ হলো, স্বেচ্ছাসেবীরা দূরদূরান্ত থেকে এই কাজে অংশ নেন। ঈদে পরিবারকে সময় দিতে হয় বলে ঈদের তৃতীয় দিন এ আয়োজন করেছি। এর আগেও ২০১৪ সালে সিরাজগঞ্জের যমুনার চরে এসে বানভাসিদের মাঝে কোরবানির মাংস উপহার দিয়েছি।’