সভাপতির প্রার্থীকে নিয়োগ না দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত

নওগাঁনওগাঁ সদর উপজেলার কীর্ত্তিপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু হাসানের বিরুদ্ধে। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে অনৈতিকভাবে নিয়োগে বাধা দেওয়ায় ওই শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন আবু হাসান। এ বিষয়ে রবিবার (১৮ আগস্ট) নওগাঁ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা শিক্ষা অফিসার, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ আগস্ট স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু হাসান কমিটির কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত আজহারুল ইসলামকে বিদ্যালয়ের অফিস রুমে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে সভাপতি তার পছন্দের প্রার্থীকে অনৈতিকভাবে নিয়োগ দিতে প্রধান শিক্ষকের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। অনৈতিক এ দাবি প্রত্যাখ্যান করলে সভাপতি ও অন্যরা তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।

প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৬ আগস্ট বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সভাপতি তার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে নিজের তৈরি করা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিতে চাওয়ায় নিয়োগ বোর্ডের অন্য সদস্যরা আপত্তি জানান। নিজের তৈরি করা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিতে না পেরে এবং নিজের পছন্দের প্রার্থীর নিয়োগ হবে না জেনে সভাপতি নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়েই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। এরই জের ধরে পরের দিন আমাকে অবরুদ্ধে করে রাখা হয়।’

এ ব্যাপারে সভাপতি আবু হাসান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কে কী বললো তাতে কিছু যায় আসে না।’

সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং নিয়োগ বোর্ডের সদস্য মকবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মূলত বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে এককভাবে সভাপতির পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ দ্বন্দ্ব। এ বিষয়ে আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শিগগিরই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মোবারুল ইসলাম বলেন, ‘কীর্ত্তিপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’