বজ্রাঘাতে দম্পতিসহ তিন জনের মৃত্যু

বগুড়াবগুড়ার সারিয়াকান্দির ডাকাতমারা চরে গরু আনতে ও বাটিয়া চরে পাট পরিষ্কার করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে এক দম্পতিসহ তিন জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন স্কুল ছাত্রীসহ দুই জন। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনায় পাঁচটি গরুও মারা গেছে। সারিয়াকান্দি থানার ওসি আল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্ণিবাড়ি ইউনিয়নের ডাকাতমারা চরের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৪০), তার স্ত্রী ফেলানী বেগম (৩২) ও সদর ইউনিয়নের বাটিয়া চরের তোয়াসিন প্রামানিকের ছেলে সুমন প্রামানিক (৩২)।

আহতরা হলেন- সারিয়াকান্দি সদরের কালিতলা এলাকার তবিবর ফকিরের ছেলে সুমন মিয়া (১৮) ও কুতুবপুর ইউনিয়নের দেবডাঙ্গা গ্রামের মোমিন প্রামানিকের মেয়ে নিজাম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া আকতার (১৫)।

সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার সাজেদুল ইসলাম ও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার সোহেল রানা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে পৃথক বজ্রাঘাতে স্বামী-স্ত্রীসহ তিন জন নিহত এবং স্কুল ছাত্রীসহ দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুরুতর সুমন মিয়াকে ভর্তি ও ছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ, চিকিৎসক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। দুপুর ২টার দিকে আমিরুল ও তার স্ত্রী ফেলানী চর থেকে তাদের গরু আনতে যান। গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাত হলে তারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাদের পাঁচটি গরুও মারা যায়। একই সময় বাটিয়া চরের খালে পাট পরিষ্কার করাকালে বজ্রাঘাতে সুমন প্রামানিকও ঘটনাস্থলে মারা যান। এছাড়া স্কুল থেকে দেবডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে বজ্রাঘাতে ছাত্রী তানিয়া আকতার আহত হন। কালিতলা গ্রোয়েনে চা স্টলে বজ্রপাত হলে দোকানি সুমন মিয়া গুরুতর আহত হন। হতাহতদের উদ্ধার করে সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎকরা তিন জনকে মৃত ও দুই জনকে আহত ঘোষণা করেন।