পাবনায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি ঘন্টু গ্রেফতার

শরিফুল ইসলাম ঘন্টুপাবনায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ৩ নং আসামি শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় ঈশ্বরদীর মুলাডুলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাবনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) আসাদুজ্জামান একথা জানিয়েছেন।

ঘন্টু টেবুনিয়া রানীগ্রাম সিরাজ মাস্টার ছেলে।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ঘন্টু টেবুনিয়া ছিটগোডাউনের পাশে অফিসের একটি কক্ষে গৃহবধূকে তিন দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন সন্তানের জননী ওই নারীর বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের যশোদল গ্রামে। তার অভিযোগ, প্রতিবেশী রাসেল আহমেদ গত ২৯ আগস্ট এক সহযোগীসহ তাকে তার বাড়িতে ধর্ষণ করে। দুই দিন পর (৩১ আগস্ট) তাকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসে নিয়ে তিনদিন আটকে রেখে সেখানেও চার-পাঁচ জন তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। বিষয়টি ওই নারী বাড়ি ফিরে স্বজনদের জানালে গত ৫ সেপ্টেম্বর তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

এদিকে পুলিশ রাসেলকে প্রথমে আটক করে। আর ওই নারীর রিকশাচালক স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করে। এরপর অভিযুক্ত রাসেলের সঙ্গে অভিযোগকারী ওই নারীকে থানায় ডেকে এনে বিয়ে দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে খবর চাউর হয়।

ধর্ষণের মামলা না নিয়ে মীমাংসা করতে অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে গৃহবধূকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সদর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা জানাজানি হলে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন এবং ধর্ষণ মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয় জেলা পুলিশ। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ওই গৃহবধূকে থানায় ডেকে নিয়ে মামলা করে পুলিশ।

আরও পড়ুন:

'ধর্ষকের' সঙ্গে থানায় বিয়ে: ওসিকে শোকজ, তদন্ত কমিটি গঠন