বেলকুচি থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ফজলে আশিক মামলা রেকর্ড হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালের ওই ঘটনার পর থানায় ভিকটিম অভিযোগ দিলেও তা মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে গড়িমশি করে পুলিশ। মামলার প্রধান আসামিরা হলো, বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ (৫০) এবং তার স্ত্রী উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান বেগম সোনিয়া সবুর আকন্দ (৪৫)। উপজেলা আওয়ামী লীগের ওই দু’নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সোনিয়া সবুর বলেন, ‘বুধবার বিকালের ঘটনার সময় আমি ও আমার স্বামী শমেসপুর বাজারে ছিলাম। আমরাই ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই। অথচ আমাদের দায়ী করে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।’
মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ব্যবসায়িক ও সামাজিক দ্বন্দ্বে আল মাহমুদ নিজেদের লোকজন দ্বারা লাঞ্ছিত হলেও সেখানে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। মামলায় আমাদের অভিযুক্ত করার বিষয়টি উদ্দেশ্যমূলক।’
ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই ঝামেলা রয়েছে। অভিযোগে দুই জনপ্রতিনিধির নাম থাকায় সেটি রেকর্ডের আগে অধিকতর তদন্তে কিছুটা সময় লেগেছে।